Meditation is the Best Medicine
ভুক্তভোগী মাত্রই জানেন, ধ্যানের গভীরে ডুব দেওয়া মোটেই সহজ কাজ নয়। অনেকবার ধ্যানস্থ হওয়ার চেষ্টা করেও, বিফল হয়ে, শেষপর্যন্ত ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন, এমন মানুষের সংখ্যা কম নয়।
সেই অতি কঠিন কাজটিকে আমাদের জন্য সহজ করে তুলেছেন মহর্ষি মহামানস তাঁর অপূর্ব ধ্যান পদ্ধতির মাধ্যমে।
প্রচলিত পদ্ধতি অনুযায়ী, কোনো মন্ত্র জপের মাধ্যমে গভীর ধ্যানের মধ্যে ডুবে যাওয়া, অধিকাংশ মানুষের পক্ষেই সম্ভব নয়। 'মহামনন' ধ্যানে ওই রকম কোনো চালু পদ্ধতি নেই।
ধ্যান মানে শুধু চোখ বুঁজে বসে থাকা নয়। অথবা কোনো স্মৃতি বা কল্পনায় বুঁদ হয়ে থাকাই নয়।ধ্যানের অনেক গভীরে ডুবতে হবে।ধ্যানের তন্ময়তা যত গভীর হবে, ততবেশি সাফল্য লাভ করতে পারবে ধ্যানী ব্যক্তি।
'মহামনন' ধ্যান প্রশিক্ষণ শিবির
মহর্ষি মহামানস নির্দেশিত পথে সহজ-সরল এবং অত্যন্ত কার্যকর পদ্ধতিতে মনোবিজ্ঞান ও আধ্যাত্মিকবিজ্ঞান ভিত্তিক দুর্লভ ধ্যান প্রশিক্ষণ শিবির। মহামনন' ধ্যান অনুশীলনের মাধ্যমে লাভ করুন মানসিক উৎকর্ষ এবং অনাবিল প্রশান্তি। লাভ করুন 'মেন্টাল ফিটনেস' সহ আরও অনেককিছু।
'মহামনন' ধ্যান-যোগ সাধনার মাধ্যমে সাধকের মন স্ববোধ-এ স্থিত হয়ে, এক অভূতপূর্ব প্রশান্তি ও প্রফুল্লতা লাভ করে থাকে।ক্রমশ সাধকের জীবন হয়ে ওঠে সুখময়~ শান্তিময়~ আনন্দময়। 'মন' তার ঋণাত্মক (negative) ভাব এবং মানসিক দুষণ--- উদ্বেগ-- উৎকণ্ঠা-- অবসাদ (stress, tension, depression) প্রভৃতি থেকে থেকে মুক্ত হয়ে, আত্মোপলব্ধি লাভের মধ্য দিয়ে ক্রমশ হয়ে ওঠে দিব্য জ্ঞান-আলোকময়!
ছাত্র-ছাত্রীগণ প্রচলিত শিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি 'মহামনন' শিক্ষা ও অনুশীলনের দ্বারা তাদের পরীক্ষার রেজাল্ট আরও ভালো করতে সক্ষম হবে। এছাড়া, তাদের আচরণেও ক্রমশ শুভ পরিবর্তন আসবে।
বিশদভাবে জানতে, এবং অংশগ্রহণ করতে, শীঘ্র যোগাযোগ করুন। আসন সংখ্যা সীমিত।
কোনো ব্যক্তি বা সংস্থা কলকাতায় অথবা কোনো বড় শহরে, বড় আকারে এই 'মেডিটেশন ক্যাম্প' -এর আয়োজন করতে আগ্রহী হলে, যোগাযোগ করুন। আট দিনের কোর্স এবং চার দিনের সংক্ষিপ্ত কোর্স।
মানসিক চাপ থেকে মুক্ত হোন। সুস্থ থাকুন। চরম সঙ্কটপূর্ণ এই অস্থির সময়ে— ক্রমবর্ধমান মানসিক চাপ~ দুঃশ্চিন্তা, মনকষ্ট, অসন্তোষ, অশান্তি, অসুখীভাব থেকে বহু কঠিন রোগের সৃষ্টি হচ্ছে। নিয়মিতভাবে 'মহামনন' মেডিটেশন অভ্যাস করে মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকুন।
।। মহামনন ।।
মহর্ষি মহামানস-এর মহা-আত্মবিকাশ-যোগ শিক্ষাক্রম -এর অন্তর্গত 'মহামনন' ধ্যান-যোগ সাধনার মাধ্যমে মানসিক উৎকর্ষ এবং অনাবিল প্রশান্তি ও প্রফুল্লতা লাভ করুন। লাভ করুন 'মেন্টাল ফিটনেস'।
।। মহামনন ধ্যান-যোগ ।।
সজাগ-সচেতন বিকাশমান মানুষ মাত্রই প্রশান্তি ও প্রফুল্লতা লাভের জন্য যারপরনাই আগ্রহী হয়ে থাকেন। মানব জীবনে প্রশান্তি ও প্রফুল্লতা এক অমূল্য সম্পদ। তার সঙ্গে যদি থাকে সুস্থতা, তাহলে তো সে এক মহা ভাগ্যবান মানুষ। দুর্লভ অথচ সহজ ও সরল এই শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ লাভ করে জীবনে নিয়ে আসুন এক অভূতপূর্ব শুভ পরিবর্তন।
'মহামনন' ধ্যান সাধনার দ্বারা সাধকের মন স্ব-বোধে স্থিত হয়ে, এক অনাবিল প্রশান্তি লাভ করে থাকে। সাধকের জীবন হয়ে ওঠে সুখ ও শান্তিময় আনন্দময়। তার মন সমস্ত রকমের ঋণাত্মক ভাব ও মানসিক দূষণ--- উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা প্রভৃতি থেকে মুক্ত হয়ে ওঠে। ক্রমে মোহ-মায়া, ভ্রান্ত-দৃষ্টি, অন্ধবিশ্বাস, অজ্ঞান-অন্ধত্ব ও মিথ্যার আশ্রয় থেকে মুক্ত হয়ে, সাধক সত্যনিষ্ঠ হয়ে--- আত্মশুদ্ধি, আত্মজ্ঞান, আত্মোপলব্ধি লাভের মধ্য দিয়ে হয়ে ওঠে দিব্য আলোকময়!
মহামনন : মহা আত্মবিকাশ যোগ শিক্ষাক্রম
'মহামনন' (পূর্নাঙ্গ) আত্মবিকাশ যোগ শিক্ষাক্রমের একটি অংশ হলো এই 'মহামনন ধ্যান সাধনা'।
তাই, মহামনন আত্মবিকাশ যোগ শিক্ষাক্রম সম্পর্কে কিছু জানা প্রয়োজন।
মহর্ষি মহামানস নির্দেশিত ও প্রদর্শিত পথে সহজ-সরল অপূর্ব এই শিক্ষা অধ্যয়ন ও অনুশীলনের মধ্য দিয়ে— জীবনে নিয়ে আসুন এক অভূতপূর্ব বিস্ময়কর শুভ পরিবর্তন। আপনার জীবন আরও সুন্দর ও আরও বিকশিত হয়ে উঠুক।
মহা-আত্মবিকাশের জন্য মনন-ই হলো— ‘মহামনন’। প্রকৃত আত্মবিকাশ লাভের এক অতুলনীয় শিক্ষাক্রম-ই হলো—‘মহামনন’। ভিত্তিমূল শিক্ষা থেকে আরম্ভ ক’রে অতি উচ্চস্তরের ‘মহা-আত্ম-বিকাশ-যোগ’ শিক্ষাক্রমই হলো—‘মহামনন’।
—যার মধ্য দিয়ে ক্রমশই বহু সত্য —বহু অভাবনীয় তথ্য ও তত্ত্ব আপনার সামনে উদ্ঘাটিত হবে, আস্তে আস্তে এক সুস্থ-সমৃদ্ধশালী নতুন মানুষ জন্ম নেবে আপনার মধ্যে, এবং ক্রমশ বিকাশলাভ করতে থাকবে— করতেই থাকবে। সুস্থতা ছাড়া আত্মবিকাশ সম্ভব নয়। তাই, এই শিক্ষাক্রমের অঙ্গ হিসাবে আপনি এখানে অভিজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা প্রাকৃতিক ও যোগ চিকিৎসার সুযোগ পাবে।
নিজেকে জানা—নিজের শরীর ও মনকে জানা, নিজের চারিপাশ সহ মানুষকে চেনা, নিজের প্রকৃত অবস্থান সহ জগৎ সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান লাভ, নিজের উপর নিয়ন্ত্রন লাভ, জগতকে আরো বেশি উপভোগ করার জন্য নিজেকে যোগ্য—সমর্থ ক’রে তোলা— এই রকম আরো অনেক বিষয় নিয়েই এই শিক্ষাক্রম।
নিষ্ঠার সাথে শিক্ষা ও অনুশীলন করতে থাকলে— আস্তে আস্তে আপনার ভিতরে এক উন্নত—বিকশিত নতুন মানুষ জন্ম নেবে। যা দেখে আর সবার মতো আপনিও বিস্ময়ে মুগ্ধ হয়ে যাবেন। নিজের মধ্যে লুকিয়ে থাকা বিপুল সম্পদের অধিকারী হয়ে অপার আনন্দের আধার হয়ে উঠবেন আপনি। আপনার চারিপাশে থাকা অন্যান্য সবাই এই আনন্দের সংস্পর্শে এসে তারাও আনন্দ লাভ করবে!
ছাত্র-ছাত্রীগণ তাদের প্রচলিত শিক্ষা গ্রহনের পাশাপাশি এই আত্মবিকাশ শিক্ষা গ্রহনের দ্বারা তাদের পরীক্ষার ফল আরো ভালো করতে সক্ষম হবে। এছাড়া তাদের আচরণেও শুভ পরিবর্তন দেখা যাবে।
'মহামনন' শিক্ষার্থীদের একটা নেশাই থাকবে, তা' হলো ধ্যানের নেশা।
"আমরা এখানে এসেছি— এক শিক্ষামূলক ভ্রমনে। ক্রমশ উচ্চ থেকে আরো উচ্চ চেতনা লাভই— এই মানব জীবনের অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য। এখানে আমরা জ্ঞান-অভিজ্ঞতা লাভের মধ্য দিয়ে যত বেশি চেতনা-সমৃদ্ধ হয়ে উঠতে পারবো, তত বেশি লাভবান হবো।
আধ্যাত্মিক দৃষ্টিতে— এখান থেকে চলে যাবার সময়, কিছুই আমাদের সঙ্গে যাবেনা, একমাত্র চেতনা ব্যতীত।” —মহামানস
মহামনন —আত্মবিকাশ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য মুক্তহস্তে দান করুন।
'মহামনন' আত্মবিকাশ-যোগ শিক্ষাক্রম-এর অন্তর্গত 'মহামনন' ধ্যান-যোগ শিক্ষা।
আত্মবিকাশ! আত্ম-চেতনার বিকাশ, আত্মশক্তি আত্ম-সম্পদ, আত্ম-জ্ঞানের বিকাশ! গভীর আত্ম-সাগরের নিস্তরঙ্গ শান্তির বিকাশ।
আত্ম সচেতনতা বৃদ্ধির সাথে সাথে মানুষ আত্মবিকাশের জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠে। তখন নানা কাজের ফাঁকে, মাঝে মাঝেই চলতে থাকে আত্মচিন্তন--- আত্মজিজ্ঞাসা--- আত্মানুসন্ধান--- আত্মবিশ্লেষণ প্রভৃতি। ক্রমশ আরো পথ পেরিয়ে, পরোক্ষ ও স্বতঃস্ফূর্ত জ্ঞান লাভের মধ্য দিয়ে--- যথেষ্ট চেতনা বৃদ্ধি পেলে, বিকাশ লাভের আকাঙ্ক্ষা তীব্র হয়ে ওঠে। সে তখন পথ এবং পথপ্রদর্শক খুঁজে ফেরে। কোন পথে, কি পদ্ধতিতে দ্রুত লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়, কার কাছে গেলে পাওয়া যায় সঠিক পথ ও সহজ পদ্ধতির সন্ধান, প্রায়শই এই চিন্তায় মগ্ন থাকে সে তখন।
আপাতদৃষ্টিতে/ বাস্তবে সবকিছু থাকা সত্ত্বেও মনে শান্তি নেই, এরকম মানুষের সংখ্যা আজ ক্রমশই বেড়ে চলছে। অযথা--- অনিয়ন্ত্রিত চাহিদার কারণেও বহু মানুষ হতাশ ও অবসাদগ্রস্ত হয়ে যারপরনাই অশান্তি ভোগ করছে।
'মহামনন' শিক্ষা ও অনুশীলনের দ্বারা সাময়িকভাবে লাভবান হবার পর, স্থায়ীভাবে লাভবান হবার জন্য এখানে শিক্ষা গ্রহণ অনুশীলনের পরেও নিজের নিজের আবাসস্থলে নিয়মিতভাবে বিধি-নিয়ম মেনে 'মহামনন' অনুশীলন করে যেতে হবে। প্রয়োজনে, বাড়ির অন্যান্য সদস্যদেরকে সঙ্গে নিয়েও প্রতিদিন 'মহামনন' অভ্যাস করলে, গৃহে শান্তি বজায় থাকবে।
আত্মবিকাশের সহায়ক যোগ পদ্ধতি গুলির মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ যোগ হলো 'মহামনন' যোগ। ধ্যেয় এবং ধ্যানী সেখানে এক অভিন্ন। অর্থাৎ আত্ম-ধ্যান বা অধ্যাত্ম-ধ্যান। 'মহামনন' ধ্যান প্রচলিত কোনো ধর্মীয় ধ্যান নয়।
ধ্যান করতে গিয়ে অনেকেই সমস্যায় পড়ে। মনের বিশৃঙ্খলা অবস্থার কারণে, সফল হতে না পেরে, ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় অনেকেই। সরাসরি ধ্যানের গভীরে পৌঁছানো সবার পক্ষে সম্ভব হয় না। তাই ধানের প্রস্তুতির জন্য অনুসরণ ও অনুশীলন করতে হয় আরো কিছু সাধন প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়া গুলোও আত্মবিকাশের পক্ষে সহায়ক হয়ে থাকে। এর মধ্য দিয়ে জানতে হয় এবং উপলব্ধি করতে হয়--- মনের তথা চেতনার বিভিন্ন স্তরগুলিকে। এর মধ্য দিয়ে সেই সঙ্গে মানসিক এবং মনোদৈহিক সুস্থতাও লাভ হয় অনেকটাই। Read More...
।। মানব ধর্মই মহাধর্ম ।।
কোনো ব্যক্তি বা সংস্থা যদি 'মহামনন' টিভি প্রোগ্রাম (ধারাবাহিক) স্পন্সর করতে ইচ্ছুক হন, যোগাযোগ করুন।
শিক্ষার্থীকে ওয়েবসাইটে উল্লেখিত সমস্ত বিষয়গুলি
(ব্লগ সহ সমস্ত আর্টিকেল) ভালোভাবে পড়তে হবে, এবং ই-বুক পড়তে হবে। ই-বুক-এর লিঙ্ক-এ ক্লিক করে
ই-বুক পড়ুন।
'মহামনন' 'মেডিটেশন ক্যাম্প'
আয়োজকদের প্রতি জ্ঞাতব্য:
আবশ্যক বিষয়াদি~
১) বড় হল /অডিটোরিয়াম/ ফ্ল্যাট হল (যথেষ্ট আলো-বাতাস যুক্ত)
২) সাউন্ড সিস্টেম
৩) মাইকিং, ফ্লেক্স-ব্যানার, লিফলেট, গেট প্রভৃতি সহ ব্যাপক প্রচার।
৪) ম্যানেজমেন্ট (ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকবেন আয়োজক সংস্থা)।
৫) ধ্যান-শিক্ষকের বসার জন্য:
বড় জলচৌকি বা প্লাটফর্ম বা সিঙ্গেল বেড সহ তোষক, অথবা সুদৃশ্য আরামদায়ক চেয়ার।
৬) আয়োজক সংস্থা প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে একটি করে প্রবেশপত্র (গেট-পাশ কার্ড) দেবেন, যাতে সেই সংস্থার নাম, লোগো অথবা বিজ্ঞাপন থাকবে।
প্রচারে আয়োজক হিসাবে ব্যক্তি বা সংস্থার নাম দেওয়া যাবে। আয়োজক ইচ্ছা করলে, কয়েকজন স্পন্সর নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে, স্পন্সর হিসাবে তাদেরও নাম থাকতে পারে।
শিক্ষার্থীদের প্রতি জ্ঞাতব্য:
শরীর ও মন উভয় দিক থেকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে এবং 'মহামনন'-এর ঐকান্তিক চাহিদা নিয়ে মহামনন শিক্ষাকেন্দ্রে উপস্থিত হতে হবে। কোনো কাজের তাড়া নিয়ে, অর্থাৎ কোনোরূপ বহির্মুখীতা নিয়ে এখানে আসা যাবে না। শিক্ষা গ্রহণের জন্য মনস্থির করার পর, সমস্ত প্রকারের নেশা, নেশাজাতীয় দ্রব্য, মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট, আড্ডা এবং বাজে অভ্যাস ও প্রবৃত্তিসহ বিভিন্ন বহির্মুখীতা থেকে মুক্ত হতে হবে। এটাই হলো প্রাক প্রস্তুতি। অধৈর্য, অস্থিরতা, উত্তেজনা থেকে মুক্ত হয়ে, যথা সম্ভব মৌনতা অবলম্বন করে, মনকে স্বতঃস্ফূর্ত মানব-প্রেম-ভালোবাসায় ভরিয়ে তুলতে হবে। ধ্যানের জন্য ভিতরে ভিতরে তৈরি করতে হবে নিজেকে।
তারপর, ধাপে ধাপে, প্রাণযোগ--- সুষুপ্তিযোগ, মন-আমি যোগের আত্ম-নিরীক্ষার পথ ধরে, 'মহামনন' যোগে--- বিশ্ব-মানব-প্রেমে আপ্লুত হয়ে, অনাবিল সুখানুভূতি ও সন্তুষ্টি নিয়ে স্ব-বোধে স্থিত হতে হয়।
এই ধ্যান শিক্ষা ও অনুশীলনে কোনো প্রবেশ মূল্য নেই। তবে, প্রত্যেকের নিকট আবেদন, এই শিক্ষা কার্যক্রমের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নানাবিধ খরচ এবং অদূর ভবিষ্যতে বিশ্বমানের একটি আদর্শ 'মহামনন কেন্দ্র' গড়ে তোলার জন্য সবাই নিজেদের সাধ্যমতো দান করবেন।
এখানে প্রশিক্ষিত হওয়ার পরে, নিজের নিজের বাসস্থানে নিয়মিত অনুশীলন করে যেতে হবে। তবেই ভালো ফল পাওয়া যাবে।
এই শিক্ষাক্রম ৮ দিনের কোর্স, প্রতিদিন... থেকে.... টা পর্যন্ত (ঘোষণা করা হবে)। মাঝে .... বিরতি।
এছাড়া আছে, চারদিনের বিশেষ সংক্ষিপ্ত কোর্স।
শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট সময়ের ১৫ মিনিট পূর্বে শিক্ষাকেন্দ্রে উপস্থিত হতে হবে। প্রথম দিন আধঘন্টা পূর্বে উপস্থিত হওয়া কর্তব্য। দেরি করে এলে, ক্লাসে প্রবেশ করা যাবে না। এই ধ্যান শিক্ষাকেন্দ্রে শিক্ষা চলাকালীন কখনো কোনোদিন অনুপস্থিত হওয়া যাবেনা। অনুপস্থিত থাকলে, তাকে আর পুনঃপ্রবেশর সুযোগ দেওয়া হবে না। আবেদন পত্রের সঙ্গে মোবাইল নম্বর এবং হোয়াটসআ্যপ নম্বর দিতে হবে।
এখানে প্রচলিত ধর্ম, রাজনীতি, আধ্যাত্মিক অথবা অন্য কোনো বিষয় নিয়েই আলোচনা হবেনা, কোনো প্রশ্ন করা যাবে না। যথাসম্ভব নিরবতা বজায় রেখে শিক্ষা গ্রহণ করাই শিক্ষার্থীদের একমাত্র কর্তব্য। কোনো প্রশ্ন থাকলে, কাগজে লিখে জানাতে হবে।
নিয়ম বহির্ভূত আচরণের জন্য যেকোনো শিক্ষার্থীকে এই ধ্যান শিক্ষাকেন্দ্র থেকে বহিষ্কার করা হতে পারে। শিক্ষক এবং অপর শিক্ষার্থীদের কাজে ব্যাঘাত ঘটানো অথবা বিরক্ত করা এবং অযথা কথা বলা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
এখানে শিক্ষার ভাষা মাধ্যম হলো বাংলা।
মহামনন' ধ্যান শিক্ষার জন্য, শিক্ষার্থীদের যা যা থাকা আবশ্যক:
ঐকান্তিক আগ্রহ, ইচ্ছা ও নিষ্ঠা। এবং এক আসনে অনেকক্ষণ সুস্থির হয়ে বসে থাকার ক্ষমতা।
প্রয়োজন-- ঢিলেঢালা পোষাক। নিজস্ব বেডসিট বা যোগা-ম্যাট এবং জলের পাত্র (বোতল)। কাগজ, খাতা-কলম। এখানে ব্লগ-এর মধ্যে দুটি গান আছে। গানদুটি খাতায় লিখে নিন। শিক্ষার্থীকে ওয়েবসাইটে উল্লেখিত সমস্ত বিষয়গুলি (ব্লগ সহ সমস্ত আর্টিকেল) ভালোভাবে পড়তে হবে, এবং ই-বুক পড়তে হবে। ই-বুক-এর লিঙ্ক-এ ক্লিক করে ই-বুক পড়ুন।
দূষণ মুক্ত নির্মল পরিচ্ছন্ন স্থানই ধ্যান অভ্যাসের পক্ষে উপযুক্ত স্থান। সেখানে ধ্যানে বিঘ্নকর কিছু থাকবে না। ধ্যানে বসার পূর্বে হাত-পা ধুয়ে, চোখ-মুখ ও ঘাড়ে জলের ঝাপটা দিয়ে, ধুয়ে ---মুছে, ধ্যানে বসতে হয়।
নিষেধ: শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত কাউকে শিক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। কুড়ি বছরের কম বয়সী ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে, তাদের অভিভাবক থাকতে হবে, এবং অভিভাবকদেরকেও স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী হতে হবে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ফোন / মোবাইল রাখা নিষেধ।
শিক্ষাকেন্দ্রের ভিতরে কোনোরকম আলাপ-আলোচনা, কথা বলা নিষেধ। নিস্তব্ধতা ও শান্তি বজায় রাখতে হবে। কারো কোনো প্রশ্ন থাকলে, ক্লাস শুরু হওয়ার পরে, লিখিতভাবে একটি প্রশ্ন করা যাবে। অপ্রাসঙ্গিক ও অপ্রয়োজনীয় প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মতো সময় না থাকলে, হোয়াটসআ্যপের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তর দেওয়া হতে পারে।
এডমিশন বা ভর্তির জন্য সাদা কাগজে আবেদন করতে হবে। একটি পাসপোর্ট সাইজের ছবিসহ আবেদন পত্রের সঙ্গে আইডি প্রুফ (ভোটার কার্ড/ আধার কার্ড) -এর জেরক্স কপিসহ আবেদন করতে হবে। সঙ্গে অরিজিনাল আইডি প্রুফও আনতে হবে। আসন সংখ্যা সীমিত।
ক্লাসে তথ্য ও তত্ত্ব সম্পর্কীত আলোচনার পরে (প্র্যাকটিক্যাল) অনুশীলন পর্ব অনুষ্ঠিত হবে।
প্র্যাকটিক্যাল শিক্ষণীয় বিষয়ের-- অনুশীলন সূচী:
৹ প্রথম ধাপ=
১. প্রাথমিক কর্তব্য-কর্ম।
২. প্রাণযোগ অনুশীলন।
৩. সুষুপ্তি যোগ।
৪. সঙ্গীত যোগে ধ্যান
৫. দশ মিনিট সম্পূর্ণ মৌনতা (মুখে ও মনে সম্পূর্ণতঃ মৌনতা) অবলম্বন। মনের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখা।
৹ দ্বিতীয় ধাপ=
১. প্রাণযোগ অনুশীলন।
২. সুষুপ্তি-যোগ অনুশীলন।
৩. ধ্যান-যোগে রোগ-আরোগ্য পদ্ধতি।
৪. প্রাকৃতিক চিকিৎসা পদ্ধতি।
৫. দশ মিনিট সম্পূর্ণ মৌনতা (মুখে ও মনে সম্পূর্ণ মৌনতা) অবলম্বন। মনের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখা।
৹ তৃতীয় ধাপ=
১. 'মন-আমি যোগ' (সচেতন ও অবচেতন মনের যোগ) অনুশীলন। অডিও সাজেশন শোনার পর, নির্দেশ মতো--- মনের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রেখে মনের চিন্তা--- কল্পনা--- স্মৃতিচারণের প্রতি লক্ষ্য করা---।
২. কিভাবে কষ্টদায়ক স্মৃতিকে মন থেকে মুছে ফেলা যায়।
৩. দশ মিনিট সম্পূর্ণ মৌনতা (মুখে ও মনে সম্পূর্ণতঃ মৌনতা) অবলম্বন।
৹ চতুর্থ ধাপ= 'মহামনন' আত্মধ্যান অনুশীলন। এর মধ্যেও রয়েছে কয়েকটি ধাপ বা পর্ব।
আরও বিশদভাবে জানতে, 'মহামনন' ই-বুক পড়ুন।
To know more, please go through Google search: মহাধর্ম, মহামনন, মহামনন ধ্যান, মহর্ষি মহামানস, MahaDharma, MahaManan, Maharshi MahaManas
কোনো ব্যক্তি বা সংস্থা কলকাতায় অথবা কোনো বড় শহরে, বড় আকারে এই 'মেডিটেশন ক্যাম্প' -এর আয়োজন করতে আগ্রহী হলে, যোগাযোগ করুন।
আত্ম-ধ্যান হলো 'আমি'-র ধ্যান। এই 'আমি'-টা কে, কোথায় তার অবস্থান জানতে হবে। যাকে জানলে প্রায় সব জানা হয়, সেই 'আমি'-কে অর্থাৎ নিজেকে জানতে হবে আমাদের। আত্মজ্ঞান হলো এই 'আমি'-র জ্ঞান। 'আমি'-কে দেখা যায়না, উপলব্ধি করা যায়। নিজেকে অর্থাৎ 'আমি'-কে যত বেশি জানা যাবে, ঈশ্বর তথা এই মহাবিশ্ব জগতের রহস্য ততই স্পষ্ট হয়ে উঠবে। 'আমি'-কে অর্থাৎ নিজেকে জানার উদ্দেশ্যেই এই সৃষ্টি লীলা (মহর্ষি মহামানসের মহান সৃষ্টিতত্ব দ্রষ্টব্য) শুরু হয়েছে। 'আমি'-কে পুরোপুরি জানা হলে, তবেই ঘটবে মোক্ষ লাভ। সৃষ্টির অবসান ঘটবে তখন।
অনেকের মধ্যেই একটা ভুল ধারণা আছে, তারা মনে করে, ধ্যান চর্চা শুধুমাত্র সাধু-সন্ন্যাসী-তপস্বীদের জন্য।'ধ্যান' অভ্যাস যে প্রতিটি মানুষের পক্ষে কতটা প্রয়োজনীয়, তারা তা' জানেনা। 'ধ্যান' হলো আমাদের সবচাইতে বড় ঔষধ। ইদানীং, সাধারণ মানুষের মধ্যে কিছুটা হলেও 'যোগ' চর্চা শুরু হয়েছে। যোগের উপকারীতা অনেকেই আস্তে আস্তে বুঝতে পারছে। এই 'যোগ' প্রক্রিয়াকে বলা হয়, 'হঠ যোগ'। 'যোগ'-এর রাজা হলো 'ধ্যান'। যাকে বলাহয়-- 'রাজ-যোগ'। আজকের দিনে, ভালোভাবে জীবনযাপন করতে হলে, সুষ্ঠুভাবে বিকাশলাভ করতে হলে, 'ধ্যান' ছাড়া আমাদের গতি নেই।
মন শান্ত থাকা অথবা মনকে শান্ত রাখা শুধুমাত্র মনের উপর নির্ভর করেনা। শরীরের মধ্যে প্রদাহ ও উত্তেজনা (ইরিটেশন, ইনফ্লেমেশন, এক্সাইটমেন্ট) হতে থাকলে, তার প্রভাবে মনও অশান্ত হয়ে ওঠে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য ঃ শুধুমাত্র মানবধর্ম 'মহাধর্ম'-এ দীক্ষিত শিষ্যদেরকেই ব্যক্তিগতভাবে (প্রাইভেটে) 'মহামনন' ধ্যান শিক্ষা দেওয়া হয়।
Events & Announcements
August 19th
September
আগামী ঘোষনা লক্ষ্য করুন।